মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর তোপখানা রোডে বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ মিলনায়তনে ‘রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন পদ্ধতি বাতিলের দাবি পরিষদ’ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘এই সরকারের সঙ্গে কোনও আপস নেই। আপস চলবে না। আপস করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব না। গণতান্ত্রিক অধিকার নেই বলেই দুর্নীতি আজ প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইনটিই হচ্ছে সংবিধান ও গণতান্ত্রিক অধিকার পরিপন্থী। সবাইকে ভাবতে হবে, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় নতুন পথ তৈরি করতে হবে।’
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘রাজনৈতিক দল নিবন্ধ আইন সংবিধান পরিপন্থীএকটি কালো আইন। পরিপূর্ণ অগণতান্ত্রিক এই আইনের মাধ্যমে শাসকগোষ্ঠী রাজনীতি নিয়ন্ত্রণের অপচেষ্টা করছে। সংবিধন প্রদত্ত অধিকার আইনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না। বর্তমান নির্বাচন কমিশন পরিপূর্ণ ব্যর্থ। তারা দেশের নির্বাচনি ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে।’
বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান বলেন, ‘রাজনীতিকে ধ্বংস করতেই রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। এই ইসি থাকলে মুক্ত রাজনীতি করা যাবে না। স্থানীয় নির্বাচনে দলীয় প্রতীকের মাধ্যমে প্রকৃত রাজনৈতিক কর্মীদের নির্বাসনে পাঠানো হয়েছে।’
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বকারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার জন্য প্রয়োজন আন্দোলন। শাসকদলগুলো নিজেদের কর্র্তত্ব বজায় রেখে গণতান্ত্রিক অধিকারের কথা বলে। এই সরকার উন্নয়নের গণতন্ত্রের নামে প্রকৃত অর্থে ফ্যাসিবাদী শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে। রাজনৈতিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় নিবন্ধন আইন বাতিলে সোচ্চার হতে হবে।’
আলোচনায় আরও অংশ নেন— পরিষদের আহ্বায়ক ও সোনার বাংলা পার্টির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ হারুন-অর-রশিদ, বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, নাগরিক ঐক্যের সমন্বয়কারী শহীদুল্লাহ কায়সার, এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, পরিষদের সদস্য সচিব আবদুল মোনেম প্রমুখ।